বৈদিক যুগে আর্য সভ্যতা অগ্রগতির শীর্ষে ছিল। সকল বিজ্ঞানের উৎপত্তি বেদ থেকে পাওয়া যায়। বৈদিক যুগে 'কামান' ও 'বন্দুক' এর প্রচার ছিল নাকি ছিলনা? দেখুন, মহর্ষি দয়ানন্দ জি মহারাজ এই বিষয়ে স্পষ্ট লিখেছেন যে-
প্রশ্ন –আগ্নেয়াস্ত্র প্রভৃতি যে সকল বিদ্যার কথা লিখিত আছে,
ঐ সকল কি সত্য? সেই সময়ে কামান এবং বন্দুক ছিল কি না?
উত্তর –একথা সত্য যে,
এ সকল শস্ত্র ছিল। কারণ এ সকল পদার্থবিদ্যা দ্বারা সম্ভব।
পুনঃ- 'কামান' ও 'বন্দুক' নামগুলো অন্য বিদেশী ভাষা। সংস্কৃত ও আর্যাবর্ত ভাষা নয়, কিন্তু বিদেশীরা যাকে কামান বলে তাকে সংস্কৃত ভাষায় 'শতঘ্নী' এবং যাকে বন্দুক বলে তাকে সংস্কৃত ও আর্য ভাষায় 'ভুশুণ্ডি' বলে। মহর্ষি দয়ানন্দ জি মহারাজ নিজেই বেদ মন্ত্রের মাধ্যমে এইভাবে নিশ্চিত করেছেন। যেমন-
स्थिरा व: सन्त्वायुधा पराणुदे वीलू उत प्रतिष्कभे।
युष्माकमस्तु तविषी पनीयसी मा मर्त्यस्य मायिन:।।
(ऋग्वेद मण्डल १, सूक्त ३९, मन्त्र २)
মহর্ষি দয়ানন্দ জি মহারাজ এই মন্ত্রটি এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। দেখুন-
(परमेश्वरो हि सर्वजीवेभ्य आशीर्ददाति) ঈশ্বর সকল জীবকে আশীর্বাদ দান করে বলছে হে জীব! "व:" (युष्माकम्) তোমাদের জন্য আয়ুধ অর্থাৎ শতঘ্নী (কামান), ভুশুণ্ডি (বন্দুক), ধনুক, তীর, করওয়াল (তলোয়ার), শক্তি (বর্শা) ইত্যাদি স্থির এবং (वीलू) শক্তিশালী হোক। কিন্তু কি উদ্দেশ্যে? তোমাদের শত্রুদের পরাজয় করার জন্য (पराणुदे) যাতে তোমাদের দুষ্ট শত্রুদের মধ্যে কেউ তোমাদেরকে আঘাত করতে না পারে, (उत, प्रतिष्कभे) শত্রুদের গতি রোধ করার জন্য। (युष्माकमस्तु, तविषी पनीयसी) সারা বিশ্বে তোমাদের সামর্থ্যরূপ উত্তম সৈন্যের প্রশংসা হোক যাতে শত্রুরা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করার সংকল্প না করতে পারে, কিন্তু (मा मर्त्यस्य मायिन:) আমরা অন্যায়কারীকে আশীর্বাদ করি না। দুষ্ট, পাপী, অধার্মিক মানুষের শক্তি ও রাজত্ব কখনও বৃদ্ধি না পাক। তারা যেন সর্বদা পরাজিত হয়। ওহে মিত্রগণ! আসুন আমরা সকলে একত্রিত হই এবং সমস্ত দুঃখের বিনাশ ও বিজয়ের জন্য ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করি, যাতে তিনি আমাদেরকে আশীর্বাদ করেন। যাতে তোমাদের শত্রু কখনও না বাড়ে।
जिह्वा ज्या भवति कुल्मलं वाङ्नाडीका दन्तास्तप साभिदग्धा:।
तेभिर्ब्रह्म विध्यति देवपीयून् हृद्बलैर्धनुर्भिर्देवजूतै:।।
(अथर्ववेद ५/१८/८)
বিদ্যা ভাস্কর পন্ডিত প্রেমচন্দ্র কাব্যতীর্থ জি এই মন্ত্রে লিখেছেন-
জ্ঞানী ও বিদ্বান ব্রাহ্মণদের জিহ্বা বিদ্বান পুরুষ বিরোধিতাকারীদের জন্য ধনুকের ডোর হিসাবে কাজ করে। বাণী ধনুকের ডগা বা মাথা হিসাবে কাজ করে, দাঁত বন্দুকের ছিদ্র বা বুলেট হিসাবে কাজ করে এবং হৃদয়ের শক্তি ধনুকের মত কাজ করে।
এই মন্ত্রে ধনুকের ডোর, ধনুকের ডগা বা মাথা, বন্দুকের ছিদ্র বা বুলেট ইত্যাদির নাম বলা হয়েছে। এখানে আমাদের 'नालीका' শব্দের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত।
মহাভারত ও শুক্রনীতি ইত্যাদিতে বন্দুক ও কামানকে 'नालीक' নামে বর্ণনা করা হয়েছে। বন্দুকের নাম এসেছে 'लघुनालीक' আর কামানের নাম এসেছে 'बृहन्नालीक' হিসেবে।
'नालीक' শব্দের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন আছে কারণ সম্ভবত বিবর্তনবাদ ও পাশ্চাত্য সভ্যতা দ্বারা প্রভাবিত লোকেরা মনে করে যে ভারতের প্রাচীন আর্যরা বৈদিক যুগে কামান ও বন্দুক ইত্যাদির আবিষ্কার সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। কিন্তু বেদে এই ধরনের শব্দগুলি দেখার পর, তাদের ধারণা ত্যাগ করা উচিত যে 'প্রাচীন আর্যরা অসভ্য ছিল' এবং এই সত্যে বিশ্বাস করা উচিত যে - পাশ্চাত্য সভ্যতার যুগে বন্দুক ইত্যাদি আবিষ্কৃত হয়নি, বরং বৈদিক যুগে এর পূর্ণ জ্ঞান ছিল।
यदि नो गां हंसी यद्यश्वं यदि पुरुषम्।
तं त्वा सीसेन विध्यामो यथानोऽसो अवीरहा।।
(अथर्ववेद काण्ड १, सूक्त १६, मन्त्र ४)
এই মন্ত্রটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে, বেদাচার্য পন্ডিত ব্রহ্মদত্ত জিজ্ঞাসু জি লিখেছেন-
যদি কোন দুষ্কৃতিকারী আমাদের গরু হত্যা করে, আমাদের মানুষজন বা ঘোড়ার প্রতি সহিংসতা করে, আমরা তাকে সিসার বুলেট দিয়ে বিদ্ধ করবো, যাতে সে আমাদের যোদ্ধাদের হত্যা করতে না পারে।
এতে স্পষ্টভাবে সীসা গুলি চালানোর বর্ণনা রয়েছে। এটি প্রাচীনকালে ব্যবহৃত হত। 'नालीक अस्त्र'-এর মাধ্যমে গুলি ও শেল শব্দের
প্রয়োগ হয়। এগুলো ছিল দুই ধরনের: लघुनालीक' বন্দুক, পিস্তল ইত্যাদি এবং 'बृहन्नालीक' বড়নালা
বিশিষ্ট
কামান ইত্যাদি। শুক্রানীতির চতুর্থ অধ্যায়ে এই বর্ণনা আছে। সেখানে आग्नेयचूर्ण অর্থাৎ বারুদেরও বর্ণনা আছে।
ঋগ্বেদের একটি মন্ত্র আছে-
सुदेवो असि वरूण यस्य ते सप्त सिन्धवः।
अनुक्षरन्ति काकुदं सूर्म्ये सुषिरामिव।।
(ऋग्वेद मण्डल ८, सूक्त ६९, मन्त्र १२)
চতুর্বেদ ভাষ্যকার পন্ডিত জয়দেব শর্মা 'বিদ্যালঙ্কার' মীমাংসাতীর্থ এই মন্ত্রটির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লিখেছেন-
হে বরুণ! তুমি সুদেব। সাতটি প্রাণ তোমার তালুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যা ছিদ্রযুক্ত সুরমির মতো।
কপালের দিকে তাকাও। যেন সাতটি প্রাণ সাতটি দরজা, সাতটি ছিদ্রযুক্ত কামানের মতো, কী দারুন নিখুঁত উপমা? নাকের ছিদ্র দিয়ে হাঁচি আসার মতো দুনালা বন্দুকের মতো বিবেচনা করা হয়। এই মানসিক মনোভাব কি প্রাচীনকালে অসম্ভব ছিল? আরও দেখুন-
प्रेद्धो अग्ने दीदिहि पुरो नोऽजस्त्रया।
सूर्म्या यविष्ठत्वां शश्वन्त उपयन्ति वाजा:।।
(ऋग्वेद मण्डल ७, सूक्त १, मन्त्र ३)
পণ্ডিত জয়দেব শর্মা বিদ্যালঙ্কার মীমাংসাতীর্থকৃত ভাষ্য-
হে (अग्ने) অগ্রণী নেতা! তুমি শক্তিশালী सूर्मी-র মতো আলোকিত করে প্রকাশিত হোন যা আমাদের সামনে ধ্বংস হবে না। তুমি সর্বদা সংগ্রামী।
এসব বর্ণনা থেকে 'सूर्मी' যুদ্ধের জন্য উপযোগী একটি বড় অস্ত্র বলে মনে হয়। মনে হচ্ছে সময়ের সাথে সাথে এই যন্ত্রটি অবশ্যই অপ্রচলিত হয়ে গেছে। দেখুন মনু লিখেছেন যে-
सूर्मीं ज्वलन्तीं स्वाश्लिष्येन्।
অপরাধী জলন্ত सूर्मी-র ফাঁদে পড়ে। এটি লাল গরম লোহার একটি লাল চেইন তৈরি করে। বোধহয় শাস্তির অভিপ্রায়ে সেখানেও জ্বলন্ত কামানে মোড়ানোর নির্দেশ।
মানুষ যখনই কামানের মুখ ধরবে তখনই গেলা ফেটে তার ধ্বংস হয়ে যাবে। বন্দুক ইত্যাদি দন্ড দিবার ক্ষেত্রে সর্বত্র বিখ্যাত। কিন্তু পূর্বের পত্রগুলো পড়া পণ্ডিতদের কাছে মনে হয় সে কামান বা সুরমির আসল স্বরূপ ভুলে গেছে। তাই অনেকে এটাকে শুধু 'লোহার দণ্ড' বলে লিখেছে।
'नैषधीय चरित'-এ শতঘ্নীর অভিপ্রায় ভাষ্যকার নারায়ণ একে লোহার দণ্ড লিখেছেন, কিন্তু नीतिप्रकाशिकाकार 'শতঘ্নী'-কে 'অষ্টচক্র', ভীমকার শক্তি' বলে বর্ণনা করেছেন যা 'अयोंगुड' অর্থাৎ লোহার গোলাকে শত্রুবাহিনীর ওপর নিক্ষেপ করতো বলে লিখেছেন।
एषा वै सूर्मी कर्णकावती। एतयाहस्म वै दैवा असुराणांशत तर्हा स्तृहन्ति। यदेतया समिधमादधाति। वज्रमेवैतच्छतघ्नींयजमानो भ्रातृव्याय प्रहरति स्तृत्या अच्छम्वट् कारम्।।
कृष्ण यजुर्वेद (तैत्तिरीय संहिता) १/५/७
श्री सायणाचार्य भाष्यम्-
ज्वलन्ती लोहमयी स्थूणा सूर्मी। सा च कर्णकावती छिद्रवती। अन्तरपि ज्वलन्तीत्यर्थ:। तत्समानेयमृक्। एकेन प्रहारेण शतसंख्याकान्मारयन्त: शूरा: शततर्हा:। असुराणां मध्ये तादृशान् (सूर्म्मीयोद्धेन) एतयर्चा देवा हिंसन्ति। अनया समिदाधानेन शतघ्नीमेनामृचं वज्रं कृत्वा वैरिणं हन्तुं प्रहरति।।
অর্থাৎ এটি লোহার তৈরি একটি দীর্ঘ যন্ত্র। এর মাঝখানে একটি ছিদ্র আছে। ছিদ্রের মাঝখানে আগুন আছে। যা বের হয় তাও জ্বলতে থাকে। অসুররা যখন 'सूर्मी'-র সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হতো, তখন এক গুলিতে শত শত অসুর আহত হতো। দেবতারাও তাদেরকে হত্যা করার জন্য শত বজ্র ব্যবহার করেছিলেন।
এ বিষয়ে চতুর্বেদ ভাষ্যকার পন্ডিত জয়দেব শর্মা 'বিদ্যালঙ্কার' মীমাংসাতীর্থের অভিমত যে-
এ থেকে মোটা ও লম্বা যন্ত্রের সুরমি-র কিছু রূপ দেখা যায়। যেহেতু সংহিতা বলছে 'শতঘ্নী' এবং এটি অসুর অর্থাৎ দুষ্ট ব্যক্তি হত্যার একটি উপায়, তাই আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, বৈদিক সাহিত্যে উল্লেখিত 'সুরমি' অবশ্যই 'কামান'।
শ্রী পন্ডিত জ্যোতি প্রসাদ মিশ্র 'নির্মল' এই মন্ত্রের সায়ন ভাষ্যের উপর লিখেছেন-
এখানে বিবেচনা করা দরকার যে, লোহার তৈরি একটি দীর্ঘ যন্ত্র যার মাঝখানে একটি ছিদ্র থাকে এবং যা থেকে আগুন বের হয় এবং যা এক সাথে শত শত শত্রুকে ধ্বংস করে, এমন একটি যন্ত্র বন্দুক ছাড়া আর কি হতে পারে?
অতএব, এর আকৃতির বর্ণনা প্রমাণ করে যে আধুনিক বন্দুক 'সুরমি' 'নালিকা'-এর একটি নতুন রূপ, তাই আমরা আধুনিক বন্দুককে নতুন জিনিস বলতে পারি না।
মহাকাব্যের প্রমাণ
বাল্মীকির রামায়ণে 'শতঘ্নী' (কামান) এবং 'ভুশুণ্ডি' (বন্দুক) এর বর্ণনা করা হয়েছে এইভাবে-
स तु नालीकनाराचैर्गदाभिर्मुसलैरपि।
(वाल्मीकि रामायण, युद्धकाण्ड ७३/३४)
सर्वयन्त्रायुधवती .........। शतघ्नीशतसंकुलाम्।।
(वाल्मीकि रामायण, बालकाण्ड ५/१०-११)
অযোধ্যা নগরী সমস্ত যান্ত্রিক অস্ত্র বা মেশিন ও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ছিল এবং শত শত কামান দিয়ে সজ্জিত ছিল।
तत्रेषूपलयन्त्राणि बलवन्ति महान्ति च।
शतघ्न्यो रक्षसां गणै: ... यन्त्रैरूपेता ... यन्त्रैस्तैरवकीर्यन्ते परिखासु समन्तत:।।
(वाल्मीकीय रामायण, युद्धकाण्ड ३/१२,१३,१६,१७)
এখানে 'इषु-उपल' (কামানের গোলা) নিক্ষেপকারী যন্ত্র ও কামানের বর্ণনা রয়েছে।
शतशश्च शतघ्नीभिरायसैरपि मुद्गरै:।
(वाल्मीकि रामायण, युद्धकाण्ड ८६/२२)
রামায়ণের উত্তরকাণ্ডে রাবণ দিগ্বিজয়ের স্থানে "नालीकैस्ताडयामास" ইত্যাদির উল্লেখ আছে। রামায়ণের পরে, মহাভারতেও এই অস্ত্রগুলি সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে, যেমন-
एवं स पुरूषव्याघ्र शाल्वराजो महारिपु:।
युद्धमानो मया संख्ये वियदभ्यगमत्पुनः।।१।।
तत: शतघ्नीश्च महागदाश्च, दीप्तांश्च शूलान् मुसलानसींश्च।
चिक्षेप रोषान्मयि मन्दबुद्धि: शाल्वो महाराज जयाभिकाङ्क्षी।।२।।
तानाशुगैरापततोऽहमाशु, निवार्य हन्तुं खगमान् ख एव।
द्विधा त्रिधा चाच्छिदमाशु, मुक्तैस्ततोऽन्तरिक्षे निनदो बभूव।।३।।
(महाभारत, वनपर्व, अध्याय २१)
হে মহারাজ! সেই শাল্বরাজ আমার সঙ্গে যুদ্ধ করার পর আবার আকাশে উড়ে গেছে স্বয়ং আকাশ থেকেই বিজয়ের আকাঙ্ক্ষায় ক্রোধে শতঘ্নী (কামানের গোলা), ক্রোধান্বিত হয়ে বিজয়
লাভের আশায় আমার উপর মহাগদা, উজ্জ্বল ত্রিশূল, গদা ও তলোয়ার নিক্ষেপ করেন। তখন প্রতিরোধ হিসেবে আমিও তাকে খড়্গ নামক অস্ত্র দিয়ে দ্রুত আকাশে ধ্বংস করে দুই-তিন টুকরো করে ফেললাম। অতঃপর সে সমস্ত ভাঙ্গার কারণে আকাশেও প্রচন্ড শব্দ প্রতিধ্বনিত হল।
नाराच नालीक वराह कर्णान्।
क्षुरांस्तथा साञ्जलिकार्ध चन्द्रान्।।
(महाभारत, कर्णपर्व, अध्याय ८९)
... तीक्ष्णाङ्कुश शतघ्नीभिर्यन्त्रजालैश्चशोभितम्।
(महाभारत, आदिपर्व, अध्याय २०६, श्लोक ३४)
पट्टिशाश्च भुशुण्ड्यश्च प्रपतन्त्यनिशं मयि।
(महाभारत, वनपर्व, अध्याय २०, श्लोक ३४)
चतुश्चक्रा द्विचक्राश्च शतघ्न्यो बहुला गदा: ...।
(महाभारत, द्रोणपर्व, अध्याय १९९)
......... कडङ्गरैर्भुशुण्डीभि: .........।
(महाभारत, द्रोणपर्व, अध्याय २५, श्लोई ५८)
‘শতঘ্নী’ বিষয়ে Rama and
Homer, pp 55 পৃষ্ঠায় লিখিত আছে যে-
Which Colonel Yule
believed to have been a prehistoric Rocket or Torpedo অর্থাৎ বৈদ্যুতিক মাছের মতো একটি অস্ত্র।--------------প্রাচ্য পণ্ডিতদের মত
শাস্ত্রার্থ মহারথী, বিদ্যাভাস্কর পন্ডিত বিহারীলাল শাস্ত্রী কাব্যতীর্থ জি লিখেছেন-
'शतघ्नी और भुशुण्डी' শব্দ সম্পর্কে সংস্কৃত গ্রন্থের ভাষ্যকারগণ- লোহার পেরেক দ্বারা জড়ানো কাঠের তক্তার মতো অস্ত্রের বর্ণনা করেছেন, যেগুলি শক্তিশালী যোদ্ধারা তাদের হাত দিয়ে শত্রুদের প্রতি নিক্ষেপ করত। কিন্তু , বাল্মীকীয রামায়ণের যুধকাণ্ড, সর্গ ৩, ১৩ নং শ্লোক থেকে এটা স্পষ্ট যে, শতঘ্নী কেবল কামান হতে পারে যা গোলা নিক্ষেপ করে।
এমনকি ঋগ্বেদেও 'सीसेन विध्याम:' পদ দ্বারা সীসার বুলেট বা কামানের গোলা দিয়ে বিদ্ধ করাকে নির্দেশ করে বলে মনে হয়। এটি বাল্মীকির রামায়ণেও এসছে, শ্লোকটি নিম্নরূপ-
द्वारेषु संस्कृता भीमा: कालायसमया: शिता:।
शतशो रचिता वीरै: शतश्यो रक्षसांगणै:।।
এখানে, শ্রী হনুমান জি ভগবান রামের কাছে বর্ণনা করেছেন যে লাদুন দুর্গে শত শত ভয়ানক লোহার কামান বসানো আছে।
মহামহোপাধ্যায় পন্ডিত আর্যমুনি জি লিখেছেন-
ঋগ্বেদে যুদ্ধের অস্ত্রের সম্পূর্ণ বর্ণনা আছে, এমনকি, তলোয়ার, ধনুক ও তীর এবং বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক অস্ত্রের বর্ণনা নিচের মন্ত্রে স্পষ্টভাবে দেখানো হয়েছে-
वाशीमन्त ऋष्टिमन्तो मनीषिण: सुधन्वान इषुमन्तो निषङ्गिण:।
स्वश्वा: स्थ सुरथा: पृश्निमातर: स्वायुधा मरूतो याथना शुभम्।।
(ऋग्वेद ५/५७/२)
শুধু এই মন্ত্রে নয়, ৫৭ নম্বর সূক্তে বিদ্যুত সংক্রান্ত বহু অস্ত্রের বিশদ বর্ণনা রয়েছে, 'निषङ्ग' অর্থ কামান ও বন্দুক, যেমন-
निस्ज्यान्तेगोलकादिकं अत्र इती निशंग।
যেখানে গুলি ও কামানের গোলা ভর্তি বা ঢোকানো হয় তার নাম এখানে 'निषङ्ग' । যারা মনে করেন 'निषङ्ग' মানে শুধু 'তীর', এটা তাদের ভুল কারণ এই মন্ত্রে 'इषु' শব্দ আছে যার অর্থ 'তীর'। যদি (निषङ्ग) শব্দটি 'इषु' অর্থেও ব্যবহৃত হয় তবে অর্থটি সম্পূর্ণরূপে পুনরাবৃত্তি হয়। তাই এখানে 'निषङ्ग' শব্দের অর্থ শুধু বন্দুক ও কামান।
ডাঃ বালকৃষ্ণ জি, এমএ, পিএইচডি, এফআরএসএস, এফআরইএস লিখেছেন-
এখন কে অস্বীকার করতে পারে যে, প্রাচীন ভারতে আর্যরা খ্রিস্টের জন্মের আগেই ধর্মীয় দর্শন, বিজ্ঞান, জ্যোতিষশাস্ত্র, চারু-কারুশিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিল। তাদের প্লেন আকাশে অবাধে উড়ে বেড়াতো। তাদের তৈরী तोपों, बन्दूकों, शतघ्नियों,
भुशुण्डियों, विद्युत्अस्त्र, मोहनास्त्र, प्रज्ञानास्त्र, अन्तर्धानास्त्र, वारूणोयास्त्र,
वायवास्त्र, आग्नेयास्त्र, पर्जन्यास्त्र, मौनास्त्र, पिनाकास्त्र, बिलापगास्त्र, तामसास्त्र,
मातास्त्र, सौधास्त्र, वज्रास्त्र, ब्रह्मास्त्र, क्रौञ्चास्त्र এবং এই প্রকারের সহস্র শস্ত্র আবিষ্কারের কারণ সমস্ত জাতির উপর চক্রবর্তী রাজ্য ছিল।
প্রতীচ্চোঁর স্পষ্ট ঘোষণা-
কামান এবং মেশিনগান সম্পর্কে, বিশিষ্ট পাশ্চাত্য পণ্ডিতরা স্বীকার করেন যে ব্রাহ্মণদের এই ধরনের মেশিন ছিল।
প্রফেসর উইলসন মনে করেন যে-
প্রাচীনকাল থেকেই প্রাচীন ভারতীয়রা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে চতুর ছিল।
বিখ্যাত ইতিহাসবিদ এলফিনস্টোন আমাদের মনে করিয়ে দেন বহুদিনের কথা:
বিজয়াদশমীর দিনে আগ্নেয়াস্ত্রের আলোয় লঙ্কা ধ্বংস হয়।
শতঘ্নী মানে যে একশত বা তার বেশি মানুষ এক সাথে ধ্বংস করে। সংস্কৃত গ্রন্থে বলা হয়েছে, যে যন্ত্রটি বল আকারে লোহার টুকরো ইত্যাদি নিক্ষেপ করে বিপুল সংখ্যক মানুষকে হত্যা করে। মিঃ হ্যার্লেড সাহেবও প্রকাশ্যে এটির সম্মতি দেন।
